শাসক দলের ভিতরেই বিদ্রোহী নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিয়ে ঐক‍্যবদ্ধ করলেন দলনেত্রী

17th October 2020 9:09 pm হুগলী
শাসক দলের ভিতরেই বিদ্রোহী নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিয়ে ঐক‍্যবদ্ধ করলেন দলনেত্রী


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : নিজেদের মধ্যে মিটবে কি  বিবাদ। সেই কারনের কি  ঐক্যের বার্তা দিলেন হুগলী জেলা তৃনমূল।বেশকিছু দিন ধরে জেলা তৃনমূলে বিরোধ সামনে আসে। কখনো নাম করে।আবার কখনো নাম না করে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যাচ্ছিল বিধায়ক থেকে  সাংসদের । বিরোধ মেটাতে গত ১৫ অক্টোবর তাঁর অফিসে হুগলির তৃনমূল নেতাদের বৈঠকে ডাকেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় । সেখানে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী হুগলি জেলা তৃনমূল নেতৃত্বকে স্পস্ট জানিয়ে দেন কোনো বিবাদ মিটিয়ে এক হয়ে চলতে হবে।না হলে অন্য ব্যবস্থা হবে।দিলীপ যাদবকে সভাপতি রেখেই কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়,  তপন দাশগুপ্ত,অসীমা পাত্র,অপরূপা পোদ্দার,প্রবীর ঘোষাল,বেচারাম মান্না,স্নেহাশিষ চক্রবর্তীদের নিয়ে কোর কমিটি তৈরী করে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। আজ শ্রীরামপুরে তৃনমূলের কোর কমিটি বৈঠক করে।পরে সাংবাদিকদের সামনে ঐক্যের বার্তা দেন।শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বলেন,
২০২১ সালে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই হবে।যেসব জায়গায় আমরা পিছিয়ে গেছি সেসব জায়গায় একত্রিত হয়ে কাজ করব।মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেখে নির্বাচন হবে।রাজ্যের উন্নয়ন মমতার কাজ নিয়ে যেমন  প্রচার হবে তেমন বিজেপির জন্য ভারত পিছিয়ে গেছে।কৃষিবিল হাথরাস বিজেপির গুন্ডামী নিয়েও প্রচার চলবে।কালী পুজোর আগে জেলার দশটি বিধানসভায় নেতৃত্ব সভা করবে।কালীপুজোর পর বাকি আটটা বিধানসভায় সভা হবে বলে জানান কল্যাণ। জেলার মুখপত্র প্রবীর ঘোষাল বলেন,আমাদের দল গণতান্ত্রিক। বিরোধ ছিল আছে থাকবে । তবে সেই বিরোধ হল মনের। ক্ষোভ বিক্ষোভ মতবিরোধ হতে পারে। কিন্তু এককাট্টা হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছি।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।